অভাবের কারণে হয়েছিল বিয়ে, নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির বলে আজ তিনি IAS অফিসার
কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় মনের যদি অদম্য ইচ্ছে থাকে তাহলে মানুষ যে কোনো বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে আর এই কথাটি আরো একবার প্রমান করলো ফতেমা।
বাড়ি থেকে ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও নিজের ইচ্ছেশক্তির জোরে আজ একজন আইএএস অফিসার। বর্তমানে আইএএস অফিসার হিসেবে তিনি দেশের সকলের কাছে পরিচিত। তারি অদম্য ইচ্ছা শক্তির গল্প শুনে যে কেউই সাহস পাবে মনের মত হাজার হাজার মেয়ে এরকম এগিয়ে আসবে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। আজ সেই কথাই আপনাদের বলব।
ফতেমা গ্রামের মেয়ে তাঁর বাবা একজন সামান্য একাউন্টেন্ট ফতেমার লক্ষ্য ছিল বড় হয়ে সে বাবা-মার সমস্ত দুঃখ ঘুচিয়ে দেবে দেশের কোনো উঁচু পদে চাকরি করবে সে। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই ফাতেমার। স্বপ্ন পূরণের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অভাব। অভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যায় পড়াশুনা। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফল করে ফাতেমা। এরপর খুব কষ্টে বিএসসি পাশ করে। এরপর অভাবের কারণেই তাঁকে একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নিতে হয়।
সংসারের হাল ধরার জন্য শিক্ষকতার চাকরি করছিল সে। এরপর বাড়ি থেকে এক প্রকার জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়ে তাঁকে। এরপর ২০১৭ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেয় ফাতেমা, প্রথম সুযোগেই ৮১০ স্থান অর্জন করে সে। মহারাষ্ট্রের একজন কৃষি অফিসার হিসেবে যোগ দেয় ফতেমা। বর্তমানে সে হাজার হাজার মহিলাদের কাছে জ্বলন্ত উদাহরণ।